বাবার সঙ্গে আমার সম্পর্ক খুব একটা মধুর নয়। খাতায় কলমে একেবারে যাকে বলে রাশভারী আমার বাবা হচ্ছেন সেই ধরনের মানুষ। সেই ছোটবেলা থেকেই আমার সকল অযৌক্তিক দাবী দাওয়া,ন্যায় অন্যায় সকল আব্দারের একমাত্র আশ্রয়স্থল হচ্ছেন আমার মা। বাবা এবং আমার মাঝখানে মা বিশেষ দূতের দায়িত্ব পালন করেন। আমি কখনো কিছু করতে হলে মায়ের কাছেই পরামর্শ চাই। তবে এ ব্যপারে আমি খুব সুবিধাবাদী। ভাল লাগলে মানি,নয়তো এ কান দিয়ে ঢুকাই অন্য কান দিয়ে বের করে দেই। মানে মোটকথা হচ্ছন মা সংসারের সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে সকল দায়দায়িত্ব নিপুণভাবে সমাধা করছেন।
দশ মাস দশ দিন কথাটা খুব প্রবলভাবেই শোনা যায়,কিন্তু এর গভীরতাটা বুঝা যায়না। একজন মা তার সারাটা জীবনের সুখ বিসর্জন দিয়ে একটা প্রাণকে পৃথিবীতে নিয়ে আসেন,আদরে শাসনে তাকে বড় করেন। অথচ মায়ের কোন দায় পড়েনি সন্তানকে বড় করে তোলার। সেই ত্যাগের কথা,সেই কষ্টের কথা যখন একবাক্যেই শেষ করার চেষ্টা করি তখন নিজেকে হিপোক্রেট মনে হয়। চিকিৎসাবিজ্ঞান বলে একটা সন্তান জন্ম দিতে একজন মায়ের ২০টি হাড় ভেঙ্গে যাওয়ার সমপরিমাণ কষ্ট হয়। এটা অনুভব করাতো দূরের কথা কল্পনা করা ও দুঃসাহসের ব্যপার। সেই অবর্নণীয় ব্যথাকে মায়েরা অবলীলায় অগ্রাহ্য করেন। কতটুকু ঐশ্বরিক শক্তিপ্রাপ্ত হলে এরকম করা যায়। এত শুধু কষ্টের শুরু মাত্র। মায়েদের সারাটা জীবন সন্তানের মুখে হাসি ফোটাতেই চলে যায়। ঘরে যখন চারটা পিঠা থাকে আর মানুষ থাকে পাঁচজন তখন মা হাসিমুখে বলবেন আমি পিঠা খাইনা,তোরা খা।
ছোটবেলায় মায়ের শাড়ীর গন্ধ শুকে ঘুমাতে যেতাম। এখন অনেক বড় হয়ে গেছি,নিজে পথ চলতে শিখে গেছি,মায়ের আর প্রয়োজন নেই। কিন্তু আজ ও যখন খুব মন খারাপ হয়,তখনতো মা ছাড়া আর কাউকে পাশে পাইনা। মা হলেন অব্যক্ত বেদনা ব্যক্ত করার জায়গা,গোপন দুঃখ নিঃসংকোচে বলার জায়গা।
আজকে মা দিবস। এটাতো শুধুই ফর্মালিটি,মায়ের ভালবাসা কি আর একদিনের হয়রে পাগলা। মায়ের ভালবাসা হচ্ছে চিরদিনের চিরকালের। মায়ের কাছ থেকে ভালবাসা শুধু আনাই হয়েছে,কখনো তা ফেরত দেওয়া হয়নি। কখনো বলা হয়নি মা তোমাকে অনেক ভালবাসি,কোনদিন বলা হবে কিনা তা ও জানিনা।
সবাইকে মা দিবসের শুভেচ্ছা। পৃথিবীর সব মায়েরা সুখী হোক,ভাল থাকুক মায়েরা
দশ মাস দশ দিন কথাটা খুব প্রবলভাবেই শোনা যায়,কিন্তু এর গভীরতাটা বুঝা যায়না। একজন মা তার সারাটা জীবনের সুখ বিসর্জন দিয়ে একটা প্রাণকে পৃথিবীতে নিয়ে আসেন,আদরে শাসনে তাকে বড় করেন। অথচ মায়ের কোন দায় পড়েনি সন্তানকে বড় করে তোলার। সেই ত্যাগের কথা,সেই কষ্টের কথা যখন একবাক্যেই শেষ করার চেষ্টা করি তখন নিজেকে হিপোক্রেট মনে হয়। চিকিৎসাবিজ্ঞান বলে একটা সন্তান জন্ম দিতে একজন মায়ের ২০টি হাড় ভেঙ্গে যাওয়ার সমপরিমাণ কষ্ট হয়। এটা অনুভব করাতো দূরের কথা কল্পনা করা ও দুঃসাহসের ব্যপার। সেই অবর্নণীয় ব্যথাকে মায়েরা অবলীলায় অগ্রাহ্য করেন। কতটুকু ঐশ্বরিক শক্তিপ্রাপ্ত হলে এরকম করা যায়। এত শুধু কষ্টের শুরু মাত্র। মায়েদের সারাটা জীবন সন্তানের মুখে হাসি ফোটাতেই চলে যায়। ঘরে যখন চারটা পিঠা থাকে আর মানুষ থাকে পাঁচজন তখন মা হাসিমুখে বলবেন আমি পিঠা খাইনা,তোরা খা।
ছোটবেলায় মায়ের শাড়ীর গন্ধ শুকে ঘুমাতে যেতাম। এখন অনেক বড় হয়ে গেছি,নিজে পথ চলতে শিখে গেছি,মায়ের আর প্রয়োজন নেই। কিন্তু আজ ও যখন খুব মন খারাপ হয়,তখনতো মা ছাড়া আর কাউকে পাশে পাইনা। মা হলেন অব্যক্ত বেদনা ব্যক্ত করার জায়গা,গোপন দুঃখ নিঃসংকোচে বলার জায়গা।
আজকে মা দিবস। এটাতো শুধুই ফর্মালিটি,মায়ের ভালবাসা কি আর একদিনের হয়রে পাগলা। মায়ের ভালবাসা হচ্ছে চিরদিনের চিরকালের। মায়ের কাছ থেকে ভালবাসা শুধু আনাই হয়েছে,কখনো তা ফেরত দেওয়া হয়নি। কখনো বলা হয়নি মা তোমাকে অনেক ভালবাসি,কোনদিন বলা হবে কিনা তা ও জানিনা।
সবাইকে মা দিবসের শুভেচ্ছা। পৃথিবীর সব মায়েরা সুখী হোক,ভাল থাকুক মায়েরা
No comments :
Post a Comment