মা ফোন করে বললেন- কি রে তুই নাকি ওই মাইয়ারে এখনও পছন্দ করস ? যদি উল্টা পাল্টা কিছু শুনছি, তোর ঠ্যাঙ ভাইঙ্গা ঘরে বসায়া খাওয়ামু !
মা এরকম অনেক কিছুতেই আমার ঠ্যাঙ ভাঙেন। অনেক কিছুতেই ভয়ানক রেগে যান। সে শুধু ফোনে। বাস্তবিক ঠ্যাঙ ভাঙ্গাটা তাঁর কোনদিন হয়ে উঠে না। একটু আর্দ্র কণ্ঠে ডাক দিলেই ভয়ার্ত কণ্ঠে বলে ওঠেন- কি হইছে বাবা ?
ঠ্যাঙ ভেঙ্গেছিলাম - আমি নিজেই। অনভ্যস্ত হাতে মোটর বাইক চালাতে গিয়ে - ধপাস! পড়ে যাবার ঠিক এক মিনিটের মাঝেই মা’র ফোন। বাবা , তুই ঠিক আছিস তো ? কী অবাক বিস্ময় ! সন্তানের বিপদের খবর মায়ের কাছে এতো দ্রুত পৌঁছায় কি করে ? সেদিন বুঝেছিলাম - সন্তান এবং মায়ের মাঝে অদ্ভুত এক নেটওয়ার্ক কাজ করে । একে কি টেলিপ্যাথি বলা হয় ? নাকি তার চেয়েও বেশি কিছু ?
ভীষণ অবাক হয়েছিলাম। চোখে জল এসে গিয়েছিল। ব্যথায় নয়। পৃথিবীতে অনেকের মা নেই। আমার মা আছেন। সেই অদ্ভুত অসঙ্গায়িত আনন্দে! আমার মা আছেন – এর চেয়ে উল্লসিত হবার মত বিষয় আর কি কিছু হতে পারে ?
আপন ভুবনে পরবাস- আমার হয়েছে এই দশা। মা গ্রামে থাকেন , আমি ঢাকায় থাকি। কাজের চাপে বাড়ীতে খুব কম যাওয়া হয় । মা কিছুক্ষণ পরপর ফোন করতেই থাকেন। মাঝে মাঝে বিরক্ত হয়ে যাই। বলি – মা, এতো ফোন কর কেন? আমি কি ছোট বাচ্চাটি আছি , হারিয়ে যাব? মা হাসেন। বলেন – সময় হইলেই বুঝবি।
আমি জানি ঘণ্টায় ঘণ্টায় ফোন করার কোনই কারন নেই। আমি জানি,মা শুধুমাত্র আমার কণ্ঠস্বর শুনতে চান, আমাকে উপলব্ধি করতে চান।
মা ! তুমি কথায় কথায় আমার ঠ্যাঙ ভাঙ্গতে চাও! কিন্তু আমি জানি- আমার ঠ্যাঙ দুটোকে দৃপ্ত পদক্ষপে সামনে এগিয়ে যাবার পথে যারা শুভাকাঙ্ক্ষী – তুমি অবধারিত ভাবেই তাঁদের দলপ্রধান।
বেশ কিছুদিন মাকে দেখিনা। আজ বিশ্ব মা দিবস।
মাগো ! বড় বেশি মিস করি তোমাকে ! খুব ভালোবাসি,খুউব,খুউব......
মা এরকম অনেক কিছুতেই আমার ঠ্যাঙ ভাঙেন। অনেক কিছুতেই ভয়ানক রেগে যান। সে শুধু ফোনে। বাস্তবিক ঠ্যাঙ ভাঙ্গাটা তাঁর কোনদিন হয়ে উঠে না। একটু আর্দ্র কণ্ঠে ডাক দিলেই ভয়ার্ত কণ্ঠে বলে ওঠেন- কি হইছে বাবা ?
ঠ্যাঙ ভেঙ্গেছিলাম - আমি নিজেই। অনভ্যস্ত হাতে মোটর বাইক চালাতে গিয়ে - ধপাস! পড়ে যাবার ঠিক এক মিনিটের মাঝেই মা’র ফোন। বাবা , তুই ঠিক আছিস তো ? কী অবাক বিস্ময় ! সন্তানের বিপদের খবর মায়ের কাছে এতো দ্রুত পৌঁছায় কি করে ? সেদিন বুঝেছিলাম - সন্তান এবং মায়ের মাঝে অদ্ভুত এক নেটওয়ার্ক কাজ করে । একে কি টেলিপ্যাথি বলা হয় ? নাকি তার চেয়েও বেশি কিছু ?
ভীষণ অবাক হয়েছিলাম। চোখে জল এসে গিয়েছিল। ব্যথায় নয়। পৃথিবীতে অনেকের মা নেই। আমার মা আছেন। সেই অদ্ভুত অসঙ্গায়িত আনন্দে! আমার মা আছেন – এর চেয়ে উল্লসিত হবার মত বিষয় আর কি কিছু হতে পারে ?
আপন ভুবনে পরবাস- আমার হয়েছে এই দশা। মা গ্রামে থাকেন , আমি ঢাকায় থাকি। কাজের চাপে বাড়ীতে খুব কম যাওয়া হয় । মা কিছুক্ষণ পরপর ফোন করতেই থাকেন। মাঝে মাঝে বিরক্ত হয়ে যাই। বলি – মা, এতো ফোন কর কেন? আমি কি ছোট বাচ্চাটি আছি , হারিয়ে যাব? মা হাসেন। বলেন – সময় হইলেই বুঝবি।
আমি জানি ঘণ্টায় ঘণ্টায় ফোন করার কোনই কারন নেই। আমি জানি,মা শুধুমাত্র আমার কণ্ঠস্বর শুনতে চান, আমাকে উপলব্ধি করতে চান।
মা ! তুমি কথায় কথায় আমার ঠ্যাঙ ভাঙ্গতে চাও! কিন্তু আমি জানি- আমার ঠ্যাঙ দুটোকে দৃপ্ত পদক্ষপে সামনে এগিয়ে যাবার পথে যারা শুভাকাঙ্ক্ষী – তুমি অবধারিত ভাবেই তাঁদের দলপ্রধান।
বেশ কিছুদিন মাকে দেখিনা। আজ বিশ্ব মা দিবস।
মাগো ! বড় বেশি মিস করি তোমাকে ! খুব ভালোবাসি,খুউব,খুউব......
No comments :
Post a Comment